আলোর মনি ডটকম ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের ডাকুয়াপাড়া গ্রামে মোস্তাফা আলী (৩৬) নামের একজন রং মিস্ত্রিকে একটি কাঁঠাল গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
এ ঘটনায় পাটগ্রাম থানা পুলিশ অভিযুক্ত হামিদুল ইসলাম (৪৫), তাঁর স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৫), আব্দুল খালেক (৪০) ও ফাতেমা বেগম (৩৫) কে আটক করেছে মর্মে জানা গেছে।
আরও জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার পাটগ্রাম ইউনিয়নের সর্দারপাড়া প্রাণকৃষ্ণ গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মোস্তফা আলী। তিনি পেশায় একজন রং মিস্ত্রি। প্রায় ৬মাস আগে তার বড় ছেলে মোয়াজ আলী (১৩) অসুস্থ্য হলে তিনি পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জ উপজেলার জনৈক এক কবিরাজ দিয়ে তার ছেলের চিকিৎসা করান। কবিরাজের চিকিৎসায় ছেলে সুস্থ্য হয়েছে বলে দাবি করে। তার প্রতিবেশী হামিদুল ও তাঁর স্ত্রী তাছলিমা বেগমের দাম্পত্যকলহের কারণে সাংসারিক ঝামেলা সৃষ্টি হয়। প্রতিবেশি রং মিস্ত্রি মোস্তফা জনৈক ওই কবিরাজের স্মরণাপণ হতে পরামর্শ দেয়। ওই দম্পতি কবিরাজের কাছে সংসারে শান্তি ফিরিয়ে আনতে তদবির করে। এতে জনৈক কবিরাজ ১২হাজার টাকা নেয় কিন্তু ওই দম্পতি কোন ফল পায়নি। তারা প্রতারণার শিকার হয়েছে বলে দাবি করে। তাঁরা রং মিস্ত্রি মোস্তফা আলীকে কবিরাজের দালাল হিসেবে দোষারোপ করে আসছিল। সেই সাথে কবিরাজকে দেয়া ১২হাজার টাকা ফেরত দিতে চাপ দিয়ে আসছিল।
শনিবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টায় রং মিস্ত্রি মোস্তফা তার কাজের রং কিনতে রংপুরের উদ্যেশ্যে রওনা হয়। পথে জগতবেড় ইউনিয়নের ডাকুয়াপাড়া গ্রামে পৌছালে প্রতিবেশি হামিদুল ইসলাম (৪৫) ও তাঁর স্ত্রী তাছলিমা বেগম (৩৫) সহ পরিবারের অন্যান্য স্বজনরা মিলে রং মিস্ত্রি মোস্তফা আলীকে আটক করে। তার কাছ হতে ১২হাজার টাকা আদায় করতে কাঁঠাল গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করে। এ সময় পথচারিরা বিষয়টি ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। ভিডিওটি ভাইরাল হলে পাটগ্রাম থানা পুলিশ রবিবার (৪ অক্টোবর) ৪জনকে আটক করে। তাদের রবিবার (৪ অক্টোবর) লালমনিরহাট আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।